গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
গত কয়েকদিন ধরে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গাজীপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকারের অনুসারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা, সাংগঠনিক শক্তি ও মাঠপর্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় গাজীপুর-২ আসনে যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া প্রয়োজন। এই দাবিতে তারা শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
এদিকে, গাজীপুরের সরকার পরিবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকায় সালাহউদ্দিন সরকার সাধারণ মানুষের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে গাজীপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, তিনি নির্ধারিত সময়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিবো।এরপর দলের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে তার বিনীত প্রত্যাশা গাজীপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ত্যাগী, পরীক্ষিত ও সর্বজনগ্রহণযোগ্য নেতাকে বিবেচনা করে দেওয়া হোক। দলের স্বার্থ,আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ভোটারদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন এমনটা আশা করছি।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মতে, প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলে মতপার্থক্য থাকলেও সবাইকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন ও নির্বাচন করা উচিত।
তবে দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সালাহউদ্দিন সরকারের অনুসারীরা।
এদিকে, এ বিষয়ে গাজীপুর–২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন,“বিএনপি একটি বৃহৎ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এখানে মতভিন্নতা থাকতেই পারে। তবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ভিন্নমত থাকলে তা সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যেই শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা উচিত।
রাজপথে এমন কর্মসূচি দলের ভাবমূর্তি ও চলমান আন্দোলনের জন্য সহায়ক নয়।”
তিনি আরও বলেন,“আমার বাবা গাজীপুর–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। রাজনীতির শিক্ষা পরিবার থেকেই পেয়েছি। বর্তমানে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি এই আসনের জনগণ ও নেতাকর্মীদের আবেগকে সম্মান করি। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাই একজন দায়িত্বশীল নেতাকর্মীর কর্তব্য।”
এম. মঞ্জুরুল করিম রনি জানান, ইতোমধ্যে গাজীপুর-২ আসনের সাতজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,“দলীয় মনোনয়ন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। আশা করি, সবাই ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে দলের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
