গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় মো. সিদ্দিকুর রহমান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পেশাদার ছিনতাইকারী ইমরানকে র্যাব–১ ও টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে টঙ্গীর মধুমিতা রোড এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোরকিপার মো. সিদ্দিকুর রহমান (৫৬)। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোড এলাকার বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শনিবার সকালে কর্মস্থল ঢাকার কেরানীগঞ্জে যাওয়ার পথে টঙ্গীর বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের ওপর সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে ইমরান। একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় ইমরান সিদ্দিকুর রহমানের বাঁ হাতে তিনটি ছুরিকাঘাত করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সিঁড়ির সামনেই মারা যান সিদ্দিকুর।
পালানোর সময় তাড়াহুড়োয় ভিকটিমের রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা জুতা তিনি ফ্লাইওভারের সিঁড়িতে ফেলে দিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন কুখ্যাত মাদকস্পট মাজার বস্তিতে গিয়ে লুকিয়ে থাকেন।
খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই এস. এম. মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরবর্তীতে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ও র্যাব–১ যৌথভাবে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফেলে যাওয়া আলামত বিশ্লেষণ করে ইমরানকে শনাক্ত করে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব–১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে যৌথ দল মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ইমরান (৩০) কে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ইমরান গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী কড্ডা কালাকুর এলাকার ইউনুস তালুকদার ও ময়না বেগমের ছেলে। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা জুতাও উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে আসামি র্যাব–১ এর হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
