Type Here to Get Search Results !

ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

 

ওয়ার্ক পারমিট কেন প্রয়োজন?

যে কোনো বিদেশী নাগরিক যারা বিদেশে কাজ করতে চান তাদের জন্য একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট হল একটি নথি যা আইনত আপনাকে এই দেশে কাজ করার অধিকার দেয়। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিটি সুরক্ষিত করার জন্য, আপনি বাংলাদেশের একটি কাজের ভিসা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশের কাজের ভিসার প্রকারভেদ

বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। এই ভিসাগুলি এখানে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট মূলত দীর্ঘমেয়াদী ভিসা (3 থেকে 6 মাসের বেশি থাকার অনুমতি দেয়) এবং স্বল্পমেয়াদী ভিসা (3 দিন থেকে 3-6 মাসের মেয়াদ) এ বিভক্ত।


কর্মসংস্থান বা কাজের ভিসা

বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট হল এমন একজন ব্যক্তির জন্য যিনি বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি/আধা-সরকারি সংস্থা বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা দ্বারা নিযুক্ত হন।

যারা দেশি-বিদেশি সরকারি অফিস বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তারাও এই ক্যাটাগরিতে আসেন।

দেশের নিবন্ধিত এনজিওগুলোর সাথে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিরাও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য বৈধ এবং পরে 3 বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

ব্যবসা ভিসা

ব্যবসা, বাণিজ্য বা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সফর করতে চান এমন একজন ব্যবসায়ীকে ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়া হয়। কোনো স্বীকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় স্পনসরের আমন্ত্রণপত্রের বিপরীতে আবেদনকারীকে এই ভিসা দেওয়া যেতে পারে।

একটি ব্যবসায়িক ভিসা দিয়ে, আপনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সাইটগুলি পরিদর্শন করতে পারেন, অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে দেখা করতে পারেন বা বাংলাদেশে একটি কোম্পানি স্থাপন করতে পারেন।

আপনার ভিসার সময়কাল আপনার ভিজিটের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে।

বিনিয়োগ ভিসা

এই ভিসার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল একজন ব্যক্তিকে দেশে বিনিয়োগ সম্পর্কে ব্যবসায়িক সভা পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া। এটি এক বছরের জন্য বৈধ প্রতি মাসে সর্বাধিক 3টি দর্শনের অনুমতি দেয় ৷

সাংবাদিক ভিসা

‍নাম থেকেই বোঝা যায়, এটি সংবাদপত্র/পত্রিকা, টিভি বা রেডিও সাংবাদিকদের দেশে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য দেওয়া হয়।

এনজিও ভিসা

বাংলাদেশে একটি নিবন্ধিত এনজিওতে নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য, বাংলাদেশ থেকে এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করুন।

গবেষণা ভিসা

এটি বিদেশীদের জন্য প্রযোজ্য যারা দেশে গবেষণা, প্রশিক্ষণ বা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। উল্লিখিত প্রকল্পটি বাংলাদেশের একটি সরকার-অনুমোদিত সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।


বাংলাদেশ ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয়তা

আপনি বাংলাদেশে কাজের ভিসা এজেন্সি খুঁজতে যাওয়ার আগে, সাবধানতার সাথে প্রয়োজনীয়তার তালিকাটি দেখুন। যেহেতু প্রতিটি ওয়ার্ক পারমিট পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট, তাই প্রয়োজনীয়তাও পরিবর্তিত হয়।

একটি কর্মসংস্থান ভিসার জন্য, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)/ বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) থেকে একটি সুপারিশ পত্র প্রয়োজন।

একটি ব্যবসায়িক ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি আমন্ত্রণ পত্রের প্রয়োজন হয়, সেই সাথে কোম্পানির একটি চিঠি যা আবেদনকারীকে দেশে পাঠাচ্ছে।

একটি বিনিয়োগকারী ভিসার জন্য, বিনিয়োগ বোর্ড (BOI) বা BEPZA থেকে একটি সুপারিশ পত্র থাকতে হবে।

এনজিও কর্মীদের ভিসার জন্য এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো, বাংলাদেশের অনুমতিপত্রের প্রয়োজন হয়।

সাংবাদিক ভিসার জন্য আবেদনপত্রের প্রয়োজন হয় এবং আবেদনকারী তাদের সাথে বহন করবে এমন সরঞ্জামের তালিকা।

বাংলাদেশের একজন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এজেন্ট আপনার ওয়ার্ক পারমিটের ধরনের নথির তালিকার মাধ্যমে আপনাকে গাইড করবে। এখানে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলির একটি সাধারণ চেকলিস্ট রয়েছে:

  • বৈধ পাসপোর্ট

  • দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

  • যথাযথভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদনপত্র

  • ভিসা ফি প্রদানের রসিদ

  • নিয়োগপত্র

  • সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণ পত্র

  • ভ্রমণ ব্যবস্থার প্রমাণ

  • ব্যাংক নথি

  • ট্যাক্স পেমেন্ট সার্টিফিকেট

আবেদনকারীর পাসপোর্ট পোস্টের মাধ্যমে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে, তাদের অবশ্যই একটি স্ব-ঠিকানাযুক্ত, প্রিপেইড খাম প্রদান করতে হবে।


বাংলাদেশ ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য সঠিক ক্যাটাগরি ভিসার বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এবং তারপরে পদ্ধতিটি যথাযথভাবে অনুসরণ করুন।

- প্রথমে আপনাকে ইউরোপে একটি চাকরি খুঁজতে হবে যা আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতার সাথে মেলে।

- সাধারণত চাকরির বিজ্ঞাপনগুলো ইউরোপের বড় বড় জব পোর্টাল যেমন LinkedIn, Indeed, Glassdoor, EURES (EU Employment Services), বা কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।

২. চাকরির জন্য আবেদন করা:

- চাকরির জন্য আপনার সিভি ও কভার লেটার তৈরি করতে হবে। ইউরোপীয় ফরম্যাট অনুসরণ করে তৈরি করলে ভাল হয়।

- যে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চাকরির জন্য যোগাযোগ করছেন তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে আবেদন করতে হবে।

৩. চাকরির প্রস্তাব পাওয়া:

- কোনো কোম্পানি যদি আপনাকে চাকরির জন্য নির্বাচিত করে, তবে তারা আপনাকে একটি চাকরির প্রস্তাবপত্র (Offer Letter) দেবে।

৪. ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া:

- চাকরির প্রস্তাব পাওয়ার পরে আপনাকে ইউরোপের সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে গিয়ে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

- আবেদনপত্রের সাথে আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:

- পাসপোর্ট

- চাকরির প্রস্তাবপত্র (Offer Letter)

- চাকরির চুক্তি (Employment Contract)

- শিক্ষা সনদপত্র

- পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র

- ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (যদি প্রয়োজন হয়)

- স্বাস্থ্য বীমা

- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

৫. ভিসা ফি এবং অন্যান্য খরচ:

- ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জন্য ভিসার ফি ভিন্ন হতে পারে, সাধারণত এটি ৬০ থেকে ১২০ ইউরোর মধ্যে হয়ে থাকে (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭,০০০ থেকে ১৪,০০০ টাকা)।

- এছাড়াও অন্যান্য খরচ যেমন স্বাস্থ্য বীমা, ডকুমেন্টেশন, বিমান টিকেট, এবং দূতাবাসে যাতায়াতের খরচ ইত্যাদি যুক্ত হতে পারে।

৬. ইন্টারভিউ এবং ফাইনাল প্রসেস:

- দূতাবাস বা কনস্যুলেট আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকতে পারে।

৭. ভিসা অনুমোদন:

- সকল প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনাকে একটি কাজের ভিসা প্রদান করা হবে।

মোট খরচ:

সমগ্র প্রক্রিয়ার মোট খরচ প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে, যেটি দেশের নিয়ম, চাকরির ধরণ এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে।


ইউরোপের যে ৫টি দেশ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর কর্মী নিচ্ছে


১/ গ্রীস


গত বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রীসের পার্লামেন্ট চুক্তিটির অনুমোদন করে এর ফলে মৌসুমী কাজের ভিসায় ৫ বছরের জন্য ১৫,০০০ কর্মী নেবে গ্রীস । যেসব খাতে কর্মী নেবে তার মধ্যে রয়েছে দেশটির কৃষি পর্যটন ও তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ৫ বছরের ভিসা সরবরাহ করবে সরকার । প্রতি বছরে ৪ হাজার করে বাংলাদেশি কর্মী যাবেন দেশটিতে । শর্ত অনুযায়ী মৌসুমী ভিসা নিয়ে আসা বাংলাদেশিরা একটি নির্দিষ্ট কাজ নিয়েই গ্রিস আসবেন এবং বছরে নয় মাস গ্রিসে বসবাস ও কাজের সুযোগ পাবেন প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৯ মাস পরে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে ।

যারা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার দায়বদ্ধ থাকবে দেশে ফিরে আবারো তিনি গ্রীস এ যেতে পারবেন সম্পূর্ণ সরকারি খরচে । এভাবে বছরে ৯ মাস করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর গ্রিসে বৈধ অভিবাসী হিসেবে কাজ করতে পারবেন যেকোন বাংলাদেশী । তবে জানিয়ে রাখি, ৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করলেও করলেও কাওকে নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে না ।



২/ রোমানিয়া


সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দক্ষ ও অদক্ষ অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে আকর্ষণীয় দেশে পরিণত হয়েছে রোমানিয়া । বিদেশি কর্মীদের জন্য কয়েক হাজার ভিসা চালু করেছে দেশটির সরকার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ভুক্ত এই দেশটিতে আসছেন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক নাগরিক । বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল নাগাদ ১৬ হাজার ৪০৯ জন বাংলাদেশী কর্মীকে ভিসা দিয়েছে রোমানিয়া । এরই মধ্যে ঢাকায় অস্থায়ী কনস্যুলেট খুলেছে দেশটি । 

যে সব খাতে তারা কর্মী নিচ্ছে এর মধ্যে নির্মাণ সেবা জাহাজ নির্মাণ শিল্প সহ বিভিন্ন খাত রয়েছে । তাদের বেতন ৪০০ থেকে ১০০০ ইউরো । এই বেতনের সাথে অনেকের থাকার ব্যবস্থা ও খাবার ভাতা এবং আলাদাভাবে বাড়তি সময়ের মজুরিও দিচ্ছেন । কিন্তু তারপরেও অনেক বাংলাদেশী রোমানিয়া ছাড়ছেন । 

রোমানিয়ায় এসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন তারা । এদের বড় একটি অংশের লক্ষ্য ইতালি পাড়ি দেয়া । যদিও বিশেষ ভিসায় আসা বাংলাদেশি কর্মীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতি নেই । কিন্তু অনেকেই অবৈধভাবে চলে যাচ্ছেন । যে কারণে বাংলাদেশিদের জন্য রোমানিয়ায় শ্রমবাজার খুললেও কিছু মানুষের জন্য এই সম্ভাবনা ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে । 


৩/ মালটা


ইউরোপের একটি স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক দেশ হল মালটা । ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত দ্বীপ নিয়ে গঠিত মাত্র ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এ দেশটিতে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার সুযোগ আছে । প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে বৈধভাবে ১০৪১ জন বাংলাদেশি মাল্টা গেছেন ।

মালদা যাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, কোনো শ্রমিক বৈধ ভাবে যেতে চাইলে স্থানীয় মালিকের সঙ্গে কাজের একটি চুক্তি নিশ্চিত করতে হয়, পরে মাল্টা থেকে অনুমতি পত্র এলে সেই কাগজপত্র মালটা দূতাবাসের জমা দেয়ার পর সব ঠিক থাকলে ভিসা দেয়া হয় । তবে বাংলাদেশে মালটার দূতাবাস নেই, ভিসার জন্যে যেতে হবে ভারতের নয়াদিল্লিতে মালটার দূতাবাসে যেতে হয় । 

তবে বাংলাদেশীদের জন্য ইউরোপের দেশ মাল্টা শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার পথে । কেননা কোন বাংলাদেশী মালটা এসে থাকছেন না ।  কোনোভাবে মাল্টায় আসতে পারলে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন । অনেকে চলেও গেছেন । এর ফলে মালটার কোম্পানির মালিক পক্ষের সঙ্গে পূর্বের চুক্তি ভঙ্গ হয়ে যায় এবং এই শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ফলে কারখানায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয় । 

এভাবে ইউরোপের বাজারে আস্থা হারাচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার । উল্লেখ্য যে ইতালির সিসিলি থেকে মাত্র 93 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মালটা । মাল্টা থেকে বাংলাদেশিরা মূলত ইতালি, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন সহ ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত দেশে পাড়ি জমায় । বৈধভাবে মালটা এসে দেশটিকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে অন্য দেশে যাওয়া মোটেও উচিত নয় । এর ফল ভোগ করতে হবে আমাদেরকেই । 


৪/ ইতালি


ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ ব্লগ > ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে অবৈধ ভাবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি গিয়েছেন । সরকারি হিসেবে এই সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো । দেশটিতে বিপুল কাজের সুযোগ রয়েছে । আট বছর বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের শেষ দিকে এসে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার খুলে দেয় ইতালির সরকার ।

ইতালিতে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন পাওয়া ৩০ দেশের তালিকায় তখন বাংলাদেশের নাম ছিল । যে কারণে ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত দেশটিতে গেছেন ১৩৩ জন । বিদেশের বাজারে অনেক সময় আমরা নিজেরাই নিজেদের সুযোগ নষ্ট করি ।

একেবারে বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচে ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দালালের ফাদে পরে 10 থেকে 12 লাখ টাকা খরচ করে অবৈধভাবে ইতালি পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন অনেক বাংলাদেশী । কেউ কেউ হয়তো গন্তব্যে পৌঁছান আর কারও কারও সলিল সমাধি হয় ভূমধ্যসাগরে । এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং যারা বৈধভাবে ইতালিতে যেতে চান তাদের সর্বনাশ হয় । 


৫/ জার্মানি


ইউরোপের অন্যতম ধনী ও উন্নত দেশগুলোর একটি জার্মানি । বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মী নিয়োগের কোন যুক্তি নেই । কিন্তু দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে । জার্মানির শ্রমবাজারের সুবিধা পেতে জার্মান সরকারের সঙ্গে জিটুজি অর্থাৎ গভর্নমেন্ট গভর্মেন্ট এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই এর চেষ্টা চালাচ্ছে কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ।  এটি হলে দারুন একটা ব্যাপার হবে । 

তবে ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বৈধ ভাবে জার্মানির গেছেন ২৭ জন বাংলাদেশি । জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য যাওয়ার সুযোগ আছে । এজন্য জার্মান ভাষা জানা থাকতে হয় । তবে ওখানে নাগরিকত্ব পাওয়া খুব সহজ নয় । তাই বর্তমানে ২৩ সালে অনেকেই জার্মানিতে কাজের ভিসায় পাড়ি জমাতে শুরু করেছেন ।